ডিম পুষ্টিগুণে ভরপুর—উচ্চমানের প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ থাকার কারণে একে অনেকেই ‘সুপার ফুড’ বলেন। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায়ও ডিম থাকে নিয়মিত। তবে অন্যান্য খাবারের মতো ডিমেও অ্যালার্জি হতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে। সুখবর হলো—শিশুদের বেশির ভাগই পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে এ অ্যালার্জি থেকে সেরে ওঠে এবং পরে ডিম খেলে আর সমস্যা হয় না।
কেন ডিমে অ্যালার্জি হয়?
শিশুর রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা পুরোপুরি শক্তিশালী না থাকায় অনেক সময় ডিমের প্রোটিনকে শরীর ভুলভাবে ক্ষতিকর হিসেবে শনাক্ত করে। এতে শরীর প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া দেখায়, যা তাৎক্ষণিক বা কয়েক ঘণ্টা পরেও দেখা দিতে পারে।
লক্ষণ
-
ত্বকে লাল দাগ, চাকা বা একজিমা
-
পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, মুখের চারপাশে চুলকানি
-
সর্দি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাস নিতে শোঁ শোঁ শব্দ
-
দ্রুত হার্টবিট, রক্তচাপ কমে যাওয়া
-
গুরুতর অবস্থায় অ্যানাফাইল্যাক্সিস শক
রোগনির্ণয়
-
শিশুকে প্রথমবার ডিম খাওয়ানোর সময় লক্ষণ দেখে ধারণা পাওয়া যায়
-
প্রয়োজন হলে চিকিৎসক স্কিন অ্যালার্জি টেস্ট করে নিশ্চিত করেন
চিকিৎসা ও করণীয়
-
ডিম ও ডিমযুক্ত খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলা
-
অ্যালার্জির উপসর্গ কমাতে অ্যান্টিহিস্টামিন ব্যবহার
-
গুরুতর প্রতিক্রিয়ায় এপিনেফ্রিন (শক ইনজেকশন) প্রয়োগ
-
ডিম অ্যালার্জি থাকলে এলবুমিন, গ্লোবুলিনসহ ডিমজাত উপাদানযুক্ত খাবারও বর্জন করা
