বিটরুটের ১০টি উপকারিতা ও কিডনির জন্য নিরাপদে খাওয়ার উপায়

বিটরুটকে বলা হয় এক সত্যিকারের সুপারফুড, কারণ এতে রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বহু পুষ্টি উপাদান। এটি হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ রাখে, শক্তি বাড়ায়, প্রদাহ কমায় এবং শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে। তবে বিটরুট যতই উপকারী হোক, অতিরিক্ত খেলে কিডনির সমস্যা তৈরি হতে পারে, বিশেষ করে যাঁদের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি আছে।

বিটরুটের ১০টি উপকারিতা ও কিডনির জন্য নিরাপদে খাওয়ার উপায়

চলুন জেনে নেওয়া যাক বিটরুটের ১০টি অসাধারণ উপকারিতা এবং কীভাবে এটি নিরাপদে খাওয়া যায়—

🩸 ১. হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ রাখে

বিটরুটে থাকা নাইট্রেট রক্তনালিকে শিথিল করে, ফলে রক্তসঞ্চালন সহজ হয়। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়।

🏃‍♂️ ২. ব্যায়ামের পারফরম্যান্স বাড়ায়

বিটরুট শরীরে অক্সিজেন এফিশিয়েন্সি বৃদ্ধি করে, যার ফলে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যায়াম বা খেলাধুলা করা সহজ হয় এবং ক্লান্তি কমে।

🧠 ৩. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে

নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়, ফলে স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ উন্নত হয়। বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য এটি উপকারী।

🍽️ ৪. হজমে সহায়তা করে

বিটরুটের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পরিপাকতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে।

💪 ৫. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়

এতে রয়েছে ভিটামিন সি, আয়রন ও ফোলেট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

🌿 ৬. যকৃতের কার্যক্ষমতা উন্নত করে

বিটরুটে থাকা বিটেইনস লিভারকে কর্মক্ষম রাখে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়।

💧 ৭. প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে

বিটরুটের বিটালেইনস নামের যৌগ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

🌸 ৮. ত্বককে উজ্জ্বল রাখে

বিটরুটের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী উপাদান ত্বককে পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখে।

⚖️ ৯. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে

কম ক্যালরি ও বেশি আঁশযুক্ত হওয়ায় বিটরুট খেলে পেট ভরা থাকে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

🧼 ১০. শরীরকে ডিটক্স করতে সহায়তা করে

নিয়মিত বিটরুট খেলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়, শরীর থাকে সতেজ ও প্রাণবন্ত।


🫀 কিডনির জন্য বিটরুট নিরাপদে খাওয়ার উপায়

বিটরুটে অক্সালেট নামের যৌগ থাকে, যা কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। তাই—

  • যাঁদের কিডনির সমস্যা আছে, তাঁরা সপ্তাহে ২–৩ দিন অল্প পরিমাণে বিটরুট খেতে পারেন।

  • সেদ্ধ করে খেলে প্রায় ৮০% অক্সালেট নষ্ট হয়, যা কিডনির জন্য নিরাপদ।

  • বিটরুটের সঙ্গে পালংশাক, রেউচিনি বা বাদাম খাবেন না, কারণ এগুলোতেও অক্সালেট থাকে।

সংযম মেনে খেলে বিটরুট আপনার শরীর ও কিডনি—দুটিকেই রাখবে সুস্থ ও প্রাণবন্ত। 

আরও পড়ুন: ফুড কার্ট থেকে দেশের জনপ্রিয় বার্গার ব্র্যান্ড: চিলক্সের সাফল্যের গল্প

Post a Comment

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال