২২ বছর পর আবারও ভারতের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালের সেই সাফল্যের পর প্রথমবার ভারতকে হারাল লাল–সবুজরা। শেখ মোরছালিনের ১১ মিনিটে করা গোল ধরে রেখে বাংলাদেশ জিতেছে ১–০ ব্যবধানে, যা ২০২৭ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের প্রথম জয়। পাঁচ ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ এখন ৫ পয়েন্ট। মার্চে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলবে দলটি বাছাইয়ের শেষ ম্যাচ।
শেষ দিকে একের পর এক আক্রমণে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে ভারত। তবে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে সেই চাপ সামলে নেয় হাভিয়ের ক্যাবরেরার দল।
ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি
যোগ করা সময়:
রেফারি ৬ মিনিট যোগ করেন; স্কোর তখনো ১–০ বাংলাদেশের পক্ষে।
পেনাল্টির দাবি:
৮৩ মিনিটে ভারতের ডিফেন্ডারের হাতে বল লাগলেও রেফারি পেনাল্টির দাবি নাকচ করে দেন।
বাংলাদেশের বদলি:
মোরছালিন ও জায়ানের বদলে মাঠে নামেন শাহরিয়ান ইমন ও তাজ উদ্দিন।
৭৮ মিনিট:
তপু বর্মণের নেওয়া দূরপাল্লার শট ফিরিয়ে দেন ভারতীয় গোলরক্ষক। স্কোর ১–০।
৬০ মিনিট:
ভারত একের পর এক আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি। বাংলাদেশ ধরে রাখে লিড।
প্রথমার্ধ: বাংলাদেশের দারুণ শুরু
১১ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে রাকিবের বাড়ানো বল দারুণ টোকায় জালে পাঠান শেখ মোরছালিন। জাতীয় দলে এটি তাঁর সপ্তম গোল। ভারতও কয়েকবার সমতা ফেরানোর সুযোগ পেলেও তাদের থামিয়ে দেন হামজা চৌধুরী।
৩৪ মিনিটে তপু বর্মণ ও ভারতের বিক্রমের মধ্যে সংঘর্ষ থেকে মাঠে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুজনকেই দেখানো হয় হলুদ কার্ড।
২৭ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তারিক কাজী। তাঁর জায়গায় নামেন শাকিল আহাদ তপু।
ম্যাচ শুরুর আগের অবস্থা
খেলার প্রথম ১০ মিনিটে বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল ভারতের দিকেই, তবে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা।
বাংলাদেশের একাদশে ফিরেছিলেন শমিত সোম ও শেখ মোরছালিন। বাদ পড়েছিলেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও সোহেল রানা জুনিয়র।
জাতীয় স্টেডিয়াম ছিল দর্শকে পরিপূর্ণ। মাঠের ভিতর ও বাইরে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
আরও পড়ুন: ডিমে শিশুর অ্যালার্জি: কেন হয়, কীভাবে বুঝবেন ও সমাধান
